দেশ-বিদেশ
সভ্য-উন্নত দেশ (!) আর বাকি দুনিয়া ...
বিশ্বের প্রাকৃতিক সম্পদ, প্রাকৃতিক শক্তি আপন দখলে রাখতে... ক্ষমতা লোভে, অহংকারে জ্বালানো অশান্তির আগুন জ্বালিয়েছে দুনিয়াটাকে গোলাম করা বিশ্ব-বর্বরতার প্রতিনিধি, ধারক-পোষক আর নায়ক সেই শক্তিশালী বিশাল দানব। দাউ-দাউ করে জ্বলছে সে অগ্নি চতুর্দিকে...।
অর্থলোভী শ্রেণীর এবং দস্যুবৃত্তির পৃষ্ঠপোষক তার বিপুল আর্থিক আর সামরিক ক্ষমতা দলিত ক’রেছে এবং করছে গোটা দুনিয়াটাকে... আজও বাধাহীনভাবে, ...এ ধরায় এরাই আজ একমাত্র মহাশক্তি। ক্ষমতা প্রসার আর ক্ষমতা আঁকড়ে রাখবার প্রচেষ্টায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছে এরা সকল দেশের সন্ত্রাশবাদীদেরকে ...ব্যক্তিস্বাধীনতার ভুয়ো যুক্তির অন্তরালে ছড়িয়েছে এরা ধর্মের কলুষ বিষ, ধর্মোন্মাদতাকে উৎসাহিত করেছে। আজ সে উন্মত্ততা, ধর্মোন্মাদ অক্টোপাসের মত জড়িয়ে ধরেছে দুনিয়ার বিভিন্ন সমাজকে বহুদিক থেকে। দ্বিধা নেই এই ধর্মোন্মাদদের তাদের প্রাক্তন পৃষ্ঠপোষকদেরকেও আক্রমণ করতে। স্বভাবতই বিষ তার স্রষ্টা এবং তার ধারক-বাহককেও ব্যতিক্রম করে না।
এই হ’ল ইতিহাসের পরিহাস, ওই দানবের প্রাক্তন ক্রীতদাশেরাই লাগিয়েছে তাদের পুরানো মনিবের ঘরে আগুন। ধর্মের নামে বিকৃত-রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পরে সে আগুন, ছারখার করছে সব ... ন্যায়-অন্যায়ের প্রভেদ নেই সেথায়।
“অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা” ... এ কথা শুধু মাত্র ব্যাঙ্গসম বলে মনে হয় আজকের এ ক্যাওস ভরা দুনিয়াতে।
... বর্বরতায় এদের কেউ-ই কারও থেকে কম নয়। সভ্যতার মুখোশ পড়ে যার দাপা-দাপির অন্ত নেই, বিভিন্ন দেশে সে পেতেছে কয়েদি নির্যাতনের কারখানা ...গুয়ান্টানামো বে, রুমেনিয়া, পোলান্ড, উক্রায়েন, কসোভো, মাসেদোনিয়া, বুলগেরিয়া ...ইত্যাদি, ইত্যাদি আরও কত আজকের অজানা স্থানে স্থাপিত হয়েছে ঐ বিশাল দৈত্যের মানুষ-নির্যাতনের, নিপীড়নের গোপন শিবির।
আর আজ ঐ দেশে নূতন অ্যাডমিন্সট্রেশন... কিছুটা নূতন হাওয়া।
যদি সম্ভব হয় পুরানো দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন... অথবা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি... রোমানসাম্রাজ্যেরও পতন হ'য়েছিল।
যদি সম্ভব হয় পুরানো দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন... অথবা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি... রোমানসাম্রাজ্যেরও পতন হ'য়েছিল।
বৃটিশ-সভ্যতা(?)-র বড়াই!! ... উইনস্টন চার্চিলের ধড়িবাজি অভিপ্রায় “আধা-নাঙ্গা ফকীর", মানে মহাত্মা গান্ধীকে অনশনে মেরে ফেলার পরিকল্পনাটা সেদিন বৃটিশ শাষকদল সফল করতে পারেনি। হ্যাঁ, ভারতে গনঅভ্যুত্থানের ভয়ে হয় নি তার এ আকাঙ্ক্ষাটা পূর্ণ করা ...।
সাম্রাজ্যবাদীদের এ ধরনের হীন, কুৎসিত অভিপ্রায় কোনও দিনই কারও অজানা ছিল না। ভারতে তো এরা আসেনি ভালবাসা বিতরণ করতে, ... সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত স্বাধীনতাপ্রিয়মানুষকে, বিশেষতঃ তাদের নেত্রৃবৃন্দকে হত্যা করতে ক্রিমিন্যাল-বৃটিশ-রয়্যাল-এর ঐ গনতন্ত্রের মুখোশধারী প্রতিনিধির হৃৎকম্প হবে এ কথা পৃথিবীর কোন গবেটও বিশ্বাস করবে বলে মনে হয় না।
সে সময়কার, ১৯৪২ সালের, মন্ত্রীসভায় উইনস্টন চার্চিলের এই ক্রিমিন্যাল অভিপ্রায়ের কথা সম্প্রতি প্রকাশিত সে বৈঠকের সংরক্ষিত রেকর্ড থেকে আবার হাতে-নাতে প্রমাণিত হয়েছে। তৎকালীন ভাইসরয় ভিক্টর লিনলিথগো-কে পাঠানো চার্চিল-এর টেলিগ্রামেও এই ইচ্ছে জানানো হয়েছিল। ... না, বিস্মিত হবার কথা নয় এটা, ... এই-ই হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদীদের, এবং আজকের নয়া-সাম্রাজ্যবাদীদের, বিশ্ব-পুঁজিপতীদের সভ্যতার ছোট্ট এক নমুনা। ... হ্যাঁ, হ্যাঁ, ওদের বড় বড় সভ্যতার বুলি কি এ এতেও বন্ধ হয়!!
সাম্রাজ্যবাদীদের এ ধরনের হীন, কুৎসিত অভিপ্রায় কোনও দিনই কারও অজানা ছিল না। ভারতে তো এরা আসেনি ভালবাসা বিতরণ করতে, ... সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত স্বাধীনতাপ্রিয়মানুষকে, বিশেষতঃ তাদের নেত্রৃবৃন্দকে হত্যা করতে ক্রিমিন্যাল-বৃটিশ-রয়্যাল-এর ঐ গনতন্ত্রের মুখোশধারী প্রতিনিধির হৃৎকম্প হবে এ কথা পৃথিবীর কোন গবেটও বিশ্বাস করবে বলে মনে হয় না।
সে সময়কার, ১৯৪২ সালের, মন্ত্রীসভায় উইনস্টন চার্চিলের এই ক্রিমিন্যাল অভিপ্রায়ের কথা সম্প্রতি প্রকাশিত সে বৈঠকের সংরক্ষিত রেকর্ড থেকে আবার হাতে-নাতে প্রমাণিত হয়েছে। তৎকালীন ভাইসরয় ভিক্টর লিনলিথগো-কে পাঠানো চার্চিল-এর টেলিগ্রামেও এই ইচ্ছে জানানো হয়েছিল। ... না, বিস্মিত হবার কথা নয় এটা, ... এই-ই হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদীদের, এবং আজকের নয়া-সাম্রাজ্যবাদীদের, বিশ্ব-পুঁজিপতীদের সভ্যতার ছোট্ট এক নমুনা। ... হ্যাঁ, হ্যাঁ, ওদের বড় বড় সভ্যতার বুলি কি এ এতেও বন্ধ হয়!!
ভারত, স্বধীনতাসংগ্রাম ...
ভারতীয়দের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ঐক্যকে বিধ্বস্ত করতে ধমর্কে হাতিয়ার করার চাল বৃটিশ-সাম্রাজ্যবাদীরাও চালিয়েছে দ্বিধাহীনভাবে যার ফাঁদে পড়ে তৎকালীন ক্ষমতা-লোভী নেতা ভাঙ্গলো ভারত। ... তারই সাথে এলো আমাদের দেশের কলঙ্কমাখা অধ্যায় ... দাঙ্গা... হিন্দু-মুসলিম মারামারি, নৃশংসতা...। দেশটা শুধুভাঙ্গেনি ... সেদিনের সেই ঘৃণ্য ক্ষমতা-লোভের অপকর্মের ফলে ভারতীয় উপমহাদেশের শান্তি, ঐক্য আজ পর্যন্ত বিঘ্নিত ... আর হিন্দু-মুসলিম অনেকের-ই হাতকলুষিত হয়েছে সে সময়ে ভাত্রৃ-হত্যার রক্তে। বিশ্বের অহিংসা-আন্দোলনের প্রতীক, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রগামী, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ওপর ভারত-ভাঙ্গার দায়টা চাপানো একটা প্রচণ্ড রকমের ভুল।
মোহনদাশ করমচাঁদ গান্ধী... অদ্ভুত ওই মানুষটা, যার ডাকে অহিংসার ব্রত নিয়ে ছুটে এসেছে সবাই, ছোট, বড় সকলে, ভারতের সব অঞ্চল থেকে, পূব, পশ্চিম,উত্তর, দক্ষিণ থেকে। অদ্ভুত এই ভারতের মানুষগুলো, ভাঙ্গবে ... কিন্তু মচকাবে না, জান দেবে ... কিন্তু মান দেবে না, মাথার ভয়ে মাথা নত করবে না, - নির্ভয়, অচঞ্চল... একই প্রতিজ্ঞা ... করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে। অদ্ভুত এই ভারতের মানুষগুলো, স্বাধীন করেছে দেশটাকে, মুক্ত করেছে ভারতকে ইংরেজের শৃঙ্খল থেকে, কিন্তু ইংরেজী-ভাষাকে ফেলে দেয়নি ইতিহাসের ডাস্টবিনে... ইংরেজী-তথা বিদেশী শাষককে মেনে নেয় নি, হটিয়েছে, - কিন্তু বন্ধুত্ব ঘোচায়নি।
সাম্রাজ্যবাদীদের কবলে প’রে আমরা সবাই, সব ভারতবাসীরা, সকল শ্রেণী আর সম্প্রদায়ের নর-নারী অনেক ভুগেছি, অনেক দাম দিয়েছি, অনেক কাঠ-খর পোড়াতে হয়েছে আমাদেরকে স্বাধীনতা আর আত্মনির্ভরশীলতার জন্যে।
দুর্ভাগ্যের দুঃখ-কথা ইতিহাসের আদিকাল থেকে আমাদের দেশেও চলেছে ধন-বিত্তের কর্কশ বর্বরতা আর ধর্মের অজুহাতে বিশেষতঃ পুরানো সমাজপ্রথায় হরণ হচ্ছে, পদদলিত হচ্ছে জনসাধারণের মানবিক অধিকার। ...এখনও কাব্য, সাহিত্যের জৌলুশে, বিদ্যালয়-বিশ্ববিদ্যালয়িক শিক্ষার গৌরবে টলো-মলো আর আত্মাভিমানে অভিভূত মধ্যসম্প্রদায়, ... আজ অবধি শিখেনি এরা, কাজ আর খেটে খাওয়া মানুষকে একটুকু মর্য্যাদা দিতে। রয়েছে আভিজাত্যের মিথ্যা অভিমান,আজও রয়েছে জাত-ভেদ। নারী-স্বাধীনতার ঢেউ পৌঁছোয়নি এখনও দুয়ার থেকে দুয়ারে, সমাজের সকল স্তর থেকে স্তরে।
শহর আর শহরতলিতে মহলে মহলে তৈরি হচ্ছে আকাশ ছোঁয়া ফ্ল্যাটবাড়ি, দেয়ালঘেরা কয়েদখানা সামিল আঙ্গিনা দিবা-রাত্রি চৌকিদার আর ভিডিও ক্যামেরার সতর্ক প্রহরা সাধারণ মানুষ-সমাজের ছোঁয়া থেকে অতীব সন্তর্পণে বাঁচানো বসতিতে আস্তানা মধ্য-সম্প্রদায়ের নূতন হবু সচ্ছল গোষ্ঠীর। এদের ন্যাকামি-অভিনয় আর কৃত্রিমতা অভিমান আকাশ ছোঁয়া। আপন বংশধরদেরকে সযত্নে গড়ে তুলছে এরা ধনতন্ত্রের গোলাম, সমালোচনা-শক্তিবিহীন কলের মানুষ। সামাজিকপ্রগতিশীলতা নেই এদের অভিধানে।
সমাজের সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণী, গোষ্ঠী এই মধ্যসম্প্রদায় বংশপরম্পরা অনধিকারগত সুবিধা যে ত্যাগ করে স্বেচ্ছায় "ভাগ করে" খাবে "সকলের সাথে অন্নপান"এটা কল্পনাতীত।... "হে মোর দুর্ভাগা দেশ" কবে যে এ সমাজবোধ জাগবে ...
"যারে তুমি নীচে ফেল সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে,
পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।" ...
পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।" ...
ফরাসী বিপ্লবের পরবর্তী কালে আর কারিগরি-শিল্প বিকাশ এবং বিস্তারের প্রত্যক্ষ-অপ্রত্যক্ষ ফল অনুসারে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্মীর চাহিদা আর পারিশ্রমিকের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সামাজিক দাস্যবৃত্তির অবসান হ'য়েছে - আর তারই সাথে এসেছে সামাজিক সচেতনতা এবং আত্মমর্যাদা-বোধ। শ্রমিক তার শ্রম বিক্রয় করে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে -- তুই-তোকারি বা অবহেলা-অসন্মানজনক আচরণ অবাঞ্ছিত এবং কোনও শ্রমিক, ঝাড়ুদার অথবা মুচি-মেথর, গৃহ-ভৃত্যও সেটা বরদাস্ত করবে না। ছুটির কালে তারাও ফাইভ-স্টার হোটেলে অন্য সবাইকার সাথে সময় উপভোগ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করে না। এবং এইটাই স্বাভাবিক। ...আমাদের সমাজ এর থেকে বহু যোজন দূরে। এ দূরত্বটা ঘোচানোর দায়িত্ব আমাদের হাতে। দেশটা আমাদের... সামাজিক অন্যায়, অবিচার, ভুল-ত্রুটিশোধরাবার জন্যে অগ্রসর হ'তে হবে আমাদেরকেই...
না, এ জন্যে দরকার নেই তথা কথিত উন্নত (!) দেশের গাইডলাইন।
... আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে, তবুও মনে হচ্ছে, মনে হচ্ছে আসছে দেশে এক নূতন দিন, নিয়ে আসছে নূতন আলোড়ন ...ভূমিকম্প নয় - হয়ত, নূতন স্পন্দন, যে স্পন্দনে কাটবে দেশের জড়তা, নড়বে সবাইকার মগজ... ঝরে পরবে অহঙ্কার, ম্লান হবে দৌলতের দাপট, খসে যাবে সমাজের ঝুটো বাধা-নিষেধের শৃঙ্খল,ঘুচে যাবে আমাদের সমাজের কলঙ্কজড়িত জাতিভেদ, উচ্চ-নিম্ন ব্যবধান ... টুটে যাবে সব দূরত্ব। নব-চেতনায় উদার হবে সমাজ ... বিজলী আলোর সাথে, শিক্ষার দীপ জ্বলবে ঘরে-ঘরে, সহর থেকে শহরতলিতে, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে।
ধর্মভেদ ...
এই প্রসঙ্গে তর্ক-বিতর্ক, সমালোচনা-আত্মসমালোচনা কোন কিছু-ই অবান্তর নয়, মোটেই নয়, এ অত্যন্ত সাহায্য-ভিত্তিক প্রয়োজনীয়তা ... তবুও, তবুও বলতে হবে, স্বীকার করতেই হবে যে, দুনিয়ার অশান্ত পরিস্থিতিতেও বিশাল এই ভারতের বিপুল-ভিন্নতা সত্ত্বেও বহু ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহবাস মানবিক সভ্যতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, ... পৃথিবীতে অতুলনীয়। যদিও কিছু রাজনৈতিক সুবিধাবাদী ক্ষমতালোভী ব্যক্তি এবং দল ধর্মকে হাতিয়ার করে সাম্প্রদায়িকতার বিষ পরিবেশন করে লাভবান্ হওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে- কখনও এতে তাদের সাময়িক সাফল্য হচ্ছে বটে ... তবুও, আমার দৃষ্টিতে ভারতের জনগণ ধর্ম ভেদা-ভেদ উপেক্ষা করে সামাজিক শান্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম। হ্যাঁ, এরা অনেকেই দরিদ্র হতে পারে, হতে পারে নিরক্ষর, আছে হাজারো সংস্কার আর কু-সংস্কার ... কিন্তু তবুও জ্ঞান হারায়নি, ... জ্ঞানী এই নগ্নপদে হাঁটা ক্ষুধার্ত, রুগ্ণ , বস্ত্রহীন জনসাধারণ, অদ্ভুত এ ভারতবাসী।...
গ্লোবালাইজেশন ...
পশ্চিমী দেশগুলি এতদিন গোটা দুনিয়ার ওপর ধন আর বিত্তের দাপটে প্রভুত্ব দেখিয়ে এসেছে, আজ হচ্ছে উল্টোরথের পালা, ভাগ্যের চাকা ঘুরতে চলেছে উল্টোদিকে... এখানে টান পড়েছে পুঁজিপতির সচ্ছলতায় আর শিল্প-উৎপাদনও কমছে, কল-কারখানাও বন্ধ হচ্ছে আর সরিয়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে আজকের সস্তা দেশে। এ তো গ্লোবালাইজেশনের একটা ফল, মানে বাইপ্রোডাক্ট যাকে বলে। মরি, মরি ... পুঁজি-র আবার দেশপ্রেম, কবে কোনও কালে কোন দেশে তা ছিল !!! পুঁজি-র ঐ একটাই প্রেম ... টাকা। ... চাই মুনাফা, তা সে যে ভাবেই হোক। আর আকাশ-ছোঁয়া বেতনের গ্রাহক ম্যানেজারগুলো ক্রীতদাস মাফিক তাঁবেদারি করছে পরের টাকার মানে ক্যাপিটালের, বালাই নেই এদের একটুকুও মানবিকতার, নৈতিকতার, নেই বিবেক-দংশন, ... তা সে থাকবেই বা কেন,কীভাবে ... চাই মুনাফা আর মুনাফা, ... ডিভিডেন্ড্ যে দিতে হবে।
... ধসে পরছে আজ ব্যাংক আর বীমা কোম্পানীগুলির আকাশছোঁয়া প্রাসাদ আর তারই সাথে পুঁজিপতীর এক অধ্যায়...
সুন্দর লিখেছেন পড়ে খুব ভাল লাগল.
ReplyDelete