দেশ বিদেশ, পথে-ঘাটে, লেখনী, প্রবাসীর চিঠি

Monday 12 October 2009

শান্তির নোবেল পুরস্কার ২০০৯

নোবেল কমিটির সিদ্ধান্ত ইউ.এস. প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা-কে ২০০৯ শান্তির নোবেল পুরস্কৃত করা সমগ্র বিশ্ব এমন কি স্বয়ং বারাক ওবামা-কেও বিস্মিত করেছে। ওবামা মাত্র নয় মাস হ'ল ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট-এর চেয়ারে, শান্তির জন্য এখন অবধি তার কোনও বাস্তবিক অবদান নেই। এ কথা ঠিক ... আপাতদৃষ্টিতে এই পুরস্কার ঘোষণা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে করা হ'য়েছে। তাই এ খবরটা হজম করতে দুনিয়ার শান্তিকামী মানুষদের কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে, সন্দেহ নেই। আর এতে, অর্থাৎ এ সন্দেহ বা স্বীকৃতির ইতস্তত-তাকে অবান্তর বলে আখ্যা করাও সমুচিত হবে বলে মনে হয় না। ইউ.এস. আমেরিকার কার্যকলাপ এতদিন ধরে সমগ্র বিশ্বে সন্ত্রাস আর অশান্তি এবং হিংস্রতার আগুন জ্বালিয়েছে। তাই এই অবিশ্বাস, অনাস্থা অস্বাভাবিক অথবা ভিত্তিহীন নয়।
অন্য দিকে. জর্জ বুশ- ডিক চেনী-এর আগ্রাসী নীতির অবসান ঘটিয়ে পৃথিবীতে শান্তির আবহাওয়া আনা - এখন পর্যন্ত মৌখিক হলেও... যুগান্তরিক।
দুর্ভাগ্যক্রমে, আর্থিক এবং সামরিক বলে পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালী এ দেশ আর তার সকল নেতাবৃন্দ বিশ্ব-সংস্থা, রাষ্ট্র-পুঞ্জকে ভাঁওতা দিয়ে, মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে গোটা দুনিয়ার মত অগ্রাহ্য করে আক্রমণ করেছে একাধিক দেশকে তছনছ করেছে বিশ্বশান্তি। "আমাদের সাথে - অথবা আমাদের বিরুদ্ধে" এই বুলিতে বাধ্য করছে অনেক দেশকে তার আক্রমণাত্মক নীতির অংশীদারি হতে। আর আজ ঐ দেশের-ই প্রেসিডেন্ট চেষ্টা করছে তার দেশটাকে অহঙ্কারের উচ্চাসন থেকে নামিয়ে বিশ্বসভায় সবাইকার সাথে সম উচ্চতার বৈঠকে বসতে এবং সমস্যার সমাধান বেওনেট আর বোমার পরিবর্তনে আলোচনায় খুঁজতে। এই কিছুদিন আগে পর্যন্ত এ চিন্তা ছিল কল্পনাতীত। যদিও এখনও এটা শুধু মৌখিক, তবুও বিশ্ব-রাজনীতিতে পরিবর্তনের পূর্বাভাষ। অন্ততঃ সেটাকে জানানো হ'ক স্বাগত... শান্তির জন্য নব উদ্যমে অগ্রসর হ'তে - দেওয়া যাক ওবামাকে সুযোগ। চেষ্টা করা যাক শান্তির মেরুদণ্ড সবল করতে। সফল হলে মানব-জাতির সফলতা ... নইলে শুধু একটা পুরস্কারের অপচয়। ... সান্তনা থাকবে ... চেষ্টা-টা তো হয়েছিল!
আর, সাহিত্য... তা-ও তো শুধু বলা কথা, কাগজের লেখা... তাতে-ও নোবেল পুরস্কার হয়!